সালেহ্ বিপ্লব: গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শনিবার শেষ হলো বিসিক উদ্যোক্তা মেলা। পলাশের স্টলে ছিলো ব্যতিক্রমী ও আকর্ষণীয় পণ্য। হাতে তৈরি আয়না, ঝাড়বাতি এবং কাঠের গহনাসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি করেন তিনি। মেলায় প্রতিদিন গড়ে ৩০ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করেছেন। তিনি যে মেলাতেই যান না কেনো, স্টলে হুমড়ি খেয়ে পড়েন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা।  বাসস

পলাশ কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ে এলএলবি ২য় বর্ষের ছাত্র। উদ্যোক্তা হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ২ বার ও জাতীয় পর্যায়ে ৩ বার পুরস্কার পেয়েছেন। তার উৎপাদিত পণ্য নিয়মিত নেপাল যচ্ছে। পুনাক ও আড়ং-এ তার পণ্য বিক্রি হচ্ছে।  

পলাশ বলেন, ভারতের রাজস্থান থেকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আমি উদ্যোক্তা হয়েছি। ২০১৫ সালে কুষ্টিয়া শহরের থার্ড  জেন্ডারের কয়েক জনকে সংগঠিত করে  বেবী হ্যান্ডিক্রাফট প্রতিষ্ঠা করি । ভারত থেকে কাঁচামাল আনি। সেগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশী বিভিন্ন কাঁচামালের সংমিশ্রণে ঝলমলে সব পণ্য তৈরি করি। আমার পণ্য আনকমন তাই চাহিদা বেশি। 

তিনি বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে থার্ড জেন্ডারের ৪৪ জন কাজ করছেন। তারা এখন বেশ ভালো আছেন। কারো কাছে হাত পাততে হচ্ছে না। তারা এখন আত্মমর্যাদায় আত্মপ্রত্যয়ী। 

পলাশ বলেন, আমি সারাদেশের থার্ড  জেন্ডারের জনগাষ্ঠীর হাতকে কর্মীর হাতে পরিণত করতে চাই। প্রশিক্ষণ দিয়ে এদের মধ্যে থেকে উদ্যোক্তা ও ভালো কর্মী সৃষ্টি করতে চাই। গোপালগঞ্জ, বরিশাল ও পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার থার্ড জেন্ডারের মানুষের সাথে মতবিনিময় করেছি। তারা উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এ ব্যাপারে আমাদের বিসিকের সহযোগিতা প্রয়োজন। বিসিক গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের এজিএম গৌরব দাস বলেন, বিসিকের পক্ষ থেকে তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো। সম্পাদনা: এল আর বাদল